SIP-তে প্রতি মাসে ৫,০০০ টাকা জমা করলে ২০ বছরে কত টাকা পাওয়া যেতে পারে? হিসেব দেখে নিন

নিয়মিত বিনিয়োগ করলে দীর্ঘমেয়াদে মোটা রিটার্ন পাওয়া যায়। এমনটাই বলেন বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞরা। যদি কেউ নিয়মিত বিনিয়োগের মাধ্যমে অল্প টাকা বিনিয়োগ করে বড় তহবিল তৈরি করতে চান, তাহলে বর্তমান সময়ে এসআইপি ভাল বিকল্প হতে পারে।

এসআইপির মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ উত্তরোত্তর বাড়ছে। বর্তমান সময়ে SIP বিনিয়োগের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। অনেকেই এখন প্রতি মাসে SIP-তে বিনিয়োগ করছেন। তবে মিউচুয়াল ফান্ড বাজারের সঙ্গে যুক্ত, তাই নিশ্চিত রিটার্ন আশা করা যায় না। গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে, এসআইপিতে গড়ে ১২ শতাংশ রিটার্ন পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

অধিকাংশ ইক্যুইটি ফান্ডে ২০২৩ সালের রিটার্ন ৫০ শতাংশের বেশি ছিল। ভবিষ্যতেই একই হারে রিটার্ন মিলবে, তা বলা যায় না। তবে গত কয়েক বছর অনেক মিউচুয়াল ফান্ড ৪০ শতাংশের বেশি রিটার্ন দিয়েছে।

মাত্র ৫০০ টাকা দিয়ে এসআইপি শুরু করা যায়। একটানা বিনিয়োগ করে গেলে ২৫ বছরে কোটি টাকার রিটার্ন মিলতে পারে। বেশিরভাগ মিউচুয়াল ফান্ডে ন্যূনতম ৫০০ টাকা দিয়েই বিনিয়োগ শুরু করতে হয়। তবে চাইলে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ানোও যায়। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক SIP-তে প্রতি মাসে ৫,০০০ টাকা জমা করলে ২০ বছরে কত টাকা পাওয়া যেতে পারে।

যাঁরা লম্বা সময়ের জন্য বিনিয়োগের কোনও বিকল্পের খোঁজ করছেন, তাঁদের জন্য SIP একটি সেরা বিকল্প হতে পারে। মিউচুয়াল ফান্ডের SIP-তে শেয়ার বাজারের আকর্ষক রিটার্নের সঙ্গে সঙ্গে চক্রবৃদ্ধি সুদের সুবিধা পাওয়া যায়।

এবার এক নজরে দেখে নেওয়া যাক SIP-তে প্রতি মাসে ৫,০০০ টাকা জমা করলে ২০ বছরে কত টাকা পাওয়া যেতে পারে। যদি মিউচুয়াল ফান্ডের SIP-তে প্রতি বছরে ১২% হারে সুদ পাওয়া যায়, তাহলে ২০ বছরে ৪৫,৯৯,২৮৭ টাকার ফান্ড গড়ে তোলা যেতে পারে। এতে ২০ বছরে মোট বিনিয়োগ করা হবে ১২,০০,০০০ টাকা এবং সুদ হিসাবে পাওয়া যাবে মোট ৩৩,৯৯,২৮৭ টাকা।

মিউচুয়াল ফান্ডের SIP-তে যদি প্রতি বছরে ১৫% হারে সুদ পাওয়া যায়, তাহলে ২০ বছরে ৬৬,৩৫,৩৬৭ টাকার ফান্ড গড়ে তোলা যেতে পারে। এতে শুধু সুদ হিসাবে পাওয়া যাবে মোট ৬৪,৩৫,৩৬৭ টাকা। মিউচুয়াল ফান্ডের SIP-তে শেয়ার বাজারের ঝুঁকি রয়েছে। কিন্তু, মিউচুয়াল ফান্ডের SIP-তে লম্বা সময়ের জন্য ভাল রিটার্নও পাওয়া যেতে পারে।