Last Updated:August 24, 2025 3:14 PM IST
এটিএম-এ (ATM) ইচ্ছামতো টাকা তোলা যাবে না। নতুন নিয়ম না জানলে ফাঁকা হবে অ্যাকাউন্ট! জেনে নিন নিয়মাবলী।

ভারতের আর্থিক জীবনে এটিএম পরিষেবা এখন অপরিহার্য। যেকোনও সময় টাকা তোলা থেকে শুরু করে ব্যালেন্স চেক করা—সব কিছুই এর মাধ্যমে সম্ভব। তবে এই পরিষেবার জন্য নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম এবং চার্জ রয়েছে, যা অনেকেই জানেন না।
সম্প্রতি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) এটিএম ব্যবহার নিয়ে নতুন কিছু নিয়ম ও চার্জের ঘোষণা করেছে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এটিএম থেকে টাকা তোলার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সংখ্যক ফ্রি লেনদেনের সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। মেট্রো শহরে বসবাসকারী গ্রাহকরা প্রতি মাসে সর্বাধিক ৩ বার ফ্রি লেনদেন করতে পারবেন। এই সীমার মধ্যে টাকা তোলা থেকে শুরু করে ব্যালেন্স চেক পর্যন্ত সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
অন্যদিকে, নন-মেট্রো শহরে গ্রাহকরা প্রতি মাসে সর্বাধিক ৫ বার ফ্রি লেনদেন করার সুযোগ পাবেন। এই সীমা অতিক্রম করলেই ব্যাঙ্ক অতিরিক্ত চার্জ কেটে নেবে।
ফ্রি সীমা শেষ হয়ে গেলে গ্রাহকদের অতিরিক্ত টাকা গুনতে হবে। মেট্রো শহরে তিনটির বেশি লেনদেন হলে এবং নন-মেট্রো শহরে পাঁচটির বেশি লেনদেন হলে প্রতি লেনদেনে সর্বাধিক ২৩ টাকা চার্জ নেওয়া হবে। এর সঙ্গে যোগ হবে জিএসটি। শুধুমাত্র আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রেই নয়, নন-ফিনান্সিয়াল লেনদেন যেমন ব্যালেন্স চেক করার জন্যও কিছু ব্যাঙ্ক চার্জ নিয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, পিএনবি ব্যাঙ্ক আর্থিক লেনদেনে ২৩ টাকা এবং ব্যালেন্স চেকের জন্য ১১ টাকা নেয়। অন্যদিকে, এইচডিএফসি ব্যাংক আর্থিক লেনদেনে ফ্ল্যাট ২৩ টাকা চার্জ করে।
আরবিআই-এর নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, এটিএমে থাকা ক্যাশ রিসাইক্লার মেশিনে নগদ জমা করলে কোনও চার্জ লাগবে না। তবে মাসিক ক্যাশ উত্তোলনের সীমা অতিক্রম করলে গ্রাহকদের বাড়তি চার্জ গুনতে হবে। এছাড়াও, কালো টাকা নিয়ন্ত্রণে আনতে নতুন কিছু নিয়ম কার্যকর হয়েছে। একটি আর্থিক বছরে যদি ২০ লক্ষ টাকার বেশি নগদ লেনদেন (একবারে বা কিস্তিতে) হয়, তবে তার তথ্য সংগ্রহ করবে ব্যাংক। এই ধরনের লেনদেনের ক্ষেত্রে প্যান (PAN) এবং আধার কার্ড দেখানো বাধ্যতামূলক হবে।
ব্যাঙ্ক চার্জ কমানোর জন্য গ্রাহকদের কয়েকটি অভ্যাস পরিবর্তন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সর্বাধিক সম্ভব হলে নিজস্ব ব্যাঙ্কিং এটিএম ব্যবহার করুন, এতে ফ্রি লেনদেনের সংখ্যা বাড়বে।
ছোটখাটো কাজের জন্য এটিএমে না গিয়ে নেট ব্যাঙ্কিং বা মোবাইল ব্যাঙ্কিং ব্যবহার করুন।
ব্যালেন্স চেক এবং স্টেটমেন্ট ফোন থেকেই দেখে নেওয়ার অভ্যাস করুন। প্রতি মাসে কতবার এটিএম ব্যবহার করছেন তা খেয়াল রাখুন, তাহলেই সীমা অতিক্রম করে অপ্রয়োজনীয় চার্জ কাটা এড়ানো যাবে।