Last Updated:August 21, 2025 6:11 PM IST
Money: আয়ের উৎস হিসাবে নারকেলের খোলাকে বেছে নেন তিনি। নারকেলের মালা বা খোলাকে ব্যবহার করেই তিনি মোটা টাকা উপার্জন করছেন।

নানা ধরনের ব্যবসার আইডিয়া বর্তমানে সাধারণ মানুষের পকেটে টাকা আনছে। যেমন, কেরলের ২৬ বছর বয়সী মারিয়া কুরিয়াকোস মেয়ে নারকেলের খোলার ব্যবসা করে প্রচুর টাকা ও খ্যাতি উপার্জন করেছেন। মারিয়া বিএসসি পাশ করে একটি চাকরিতে যুক্তও হয়েছিলেন, কিন্তু এতে তিনি মোটেই আগ্রহী ছিলেন না।
শেষ পর্যন্ত মাথা খাটিয়ে বের করেন নয়া ব্যবসার আইডিয়া। আয়ের উৎস হিসাবে নারকেলের খোলাকে বেছে নেন তিনি। নারকেলের মালা বা খোলাকে ব্যবহার করেই তিনি মোটা টাকা উপার্জন করছেন।
শুনে আশ্চর্য হয়ে যাবেন, মাত্র ১ বছর আগেও বাজারে এই ফলটির ১ কেজির দাম ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা। যদিও পশ্চিমবঙ্গে নয়। কারণ পশ্চিমবঙ্গে এই ফলটি পিস হিসাবে বিক্রি হয়। তবে কেরলে সেটাই হয় কেজি দরে।
যার দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি ছিল, ১ বছরের ব্যবধানে সে ফলের শুধু খোলার দাম এখন ৩৫ টাকা কেজি। ১ বছর আগেও যে খোলা আবর্জনা হিসাবে ফেলে দেওয়া হত, সেটাই এখন বিকোচ্ছে সোনার মতো। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কেবল খোলার দাম।
নারকেলের শক্ত খোলা যে এত অল্প সময়ের মধ্যে এমন দামি হয়ে উঠবে তা খোদ নারকেল চাষিরাও বুঝে উঠতে পারেননি। এমনকি কেরালার সাধারণ মানুষ বাড়িতে নারকেল ব্যাবহারের পর তার খোলা জমিয়ে রাখছেন বিক্রির জন্য। তারপর ক্রেতা খুঁজে তা ভাল দামেই বিক্রি করছেন। অতি অল্প সময়ের মধ্যে কেরালায় এখন নারকেলের খোলা সোনার কদর পাচ্ছে।
কেন নারকেলের খোলার এমন কদর বৃদ্ধি? দেশে এবং বিদেশে তার চাহিদা হুহু করে বাড়তে থাকাই এই দাম বৃদ্ধির কারণ। নারকেলের খোলা থেকে এখন অ্যাকটিভেটেড কার্বন তৈরি করা হচ্ছে। যা জল পরিশুদ্ধ করতে কাজে লাগে।
এছাড়া তা দিয়ে প্রসাধনী তৈরি হচ্ছে। অনেক কারখানাতেও তা কাজে লাগছে। চিন এবং তাইওয়ানে এই কেরালার নারকেলের খোলার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ফলে ১ বছরের ব্যবধানে অনেক কৃষক কেবল নারকেলের খোলার ব্যবসা করে মোটা অর্থ উপার্জন করার পথ খুঁজে পেয়েছেন।