Last Updated:August 16, 2025 8:24 PM IST
Tree Cultivation: মাত্র ৪ বছরে লাখ লাখ টাকা উপার্জনের সম্ভাবনা কৃষকদের সামনে! বিশেষ এবং জনপ্রিয় এই কাঠের বিপুল চাহিদা এখন বাজারে৷ কম খরচ ও পরিশ্রমে কৃষকদের জন্য এটি একটি সোনার খনি প্রমাণিত হচ্ছে। পরিবেশ রক্ষা করেও মিলবে টাকার বৃষ্টি। বিস্তারিত জানুন...

মধ্যপ্রদেশের খাণ্ডওয়া অঞ্চলের কৃষকরা এখন ঐতিহ্যবাহী শস্য চাষ ছেড়ে মালাবার নিম গাছের চাষের দিকে ঝুঁকছেন। এই গাছ মাত্র চার বছরের মধ্যেই কাটার উপযোগী হয়ে যায় এবং এতে কৃষকেরা বিপুল লাভ করতে পারেন।
ঐতিহ্যবাহী শস্য যেমন তুলো, ছোলা, মুগ প্রভৃতির চাষে অনেক পরিশ্রম থাকলেও লাভ কম হয়। তবে মালাবার নিম বা মেলিয়া ডুবিয়া নামক একটি গাছের চাষে কৃষকেরা অনেক বেশি লাভের সুযোগ পাচ্ছেন। এই গাছ অল্প সময়ে বড় হয় এবং এর কাঠের বাজারে বিপুল চাহিদা রয়েছে।
মালাবার নিম কাঠ প্রধানত প্লাইউড তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এটি মজবুত ও হালকা হওয়ায় ফার্নিচার, দরজা-জানালা, নৌকা ইত্যাদি তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়। শুধু ভারতেই নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও এর ভালো চাহিদা রয়েছে।
কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, এই গাছের চাষ ঐতিহ্যবাহী শস্যের তুলনায় বহু গুণ বেশি লাভজনক। এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো এটি মাত্র চার বছরে সম্পূর্ণরূপে কাটার উপযোগী হয়। প্রতি একরে প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০টি গাছ রোপণ করা যায়।
একটি গাছ থেকে গড়ে ১২ থেকে ১৫ কুইন্টাল কাঠ পাওয়া যায়। এর বাজারদর প্রতি টন ৬,০০০ থেকে ৮,০০০ টাকা। অর্থাৎ, মাত্র এক একর জমিতে কয়েক লক্ষ টাকা রোজগার করা সম্ভব।
মালাবার নিম চাষে খুব বেশি পরিশ্রম লাগে না। এটি খরা সহ্য করতে পারে এবং বিভিন্ন ধরনের মাটিতে সহজেই বেড়ে ওঠে। শুরুর দিকে কিছুটা যত্নের প্রয়োজন হলেও এই গাছে রোগবালাই কম হয়, ফলে কীটনাশকের খরচও কম।
বিখ্যাত কৃষি বিজ্ঞানী বি.ডি. সংখেরে জানিয়েছেন, এটি কৃষকদের জন্য স্বর্ণগাছের মতো। প্রথম দুই বছর যত্নের প্রয়োজন হয়, এরপর গাছ দ্রুত বাড়ে। এই কাঠের বাজারে সর্বদা চাহিদা থাকায় বিক্রি নিয়ে চিন্তার প্রয়োজন হয় না।
এই গাছ পরিবেশবান্ধব। এটি দ্রুত অক্সিজেন ছাড়ে এবং মাটির উর্বরতা বজায় রাখে। গাছের পাতা গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। ফলে এটি কৃষকদের জন্য আর্থিক ও পরিবেশগতভাবে উপকারী। সরকারি নার্সারি বা বনবিভাগ থেকে গাছ সংগ্রহ করলে ফলন আরও ভালো হয়। সঠিকভাবে চাষ করলে মাত্র চার বছরে এই গাছ কৃষকদের ধনী করে তুলতে পারে।