গাছ নয়, সোনার খনি! এই গাছ চাষেই মিলবে প্রচুর টাকা! সোনার স্পর্শ পাবেন কৃষকরা...

2 weeks ago 4

Last Updated:August 22, 2025 8:22 PM IST

Mahogany Tree Cultivation: এই গাছের কাঠ, বীজ, পাতা ও ফুল বিক্রি করে কৃষকরা বিশাল মুনাফা করতে পারেন। ১২ বছরে একটি গাছ থেকে লাখ টাকার আয় সম্ভব। সমন্বিত কৃষির মাধ্যমে শত শত গাছ রোপণ করলে কোটি টাকা উপার্জন সম্ভব। বিস্তারিত পড়ুন...

“টাকাগাছ থেকে জন্মায় না”—এই প্রবাদ আমরা সবাই জানি। কিন্তু সত্যিই গাছ রোপণ করে টাকা আয় করা যায়, আর আজ আমরা সেই ব্যাপারেই বলব। আপনি কি জানেন, মেহগনি গাছের চারাগাছ রোপণ করে কয়েক বছরের মধ্যে বিশাল সম্পদ তৈরি করা সম্ভব? অবশ্যই এই প্রক্রিয়ায় সময় লাগে, কিন্তু সব ভালো জিনিস সময়সাপেক্ষ।

“টাকাগাছ থেকে জন্মায় না”—এই প্রবাদ আমরা সবাই জানি। কিন্তু সত্যিই গাছ রোপণ করে টাকা আয় করা যায়, আর আজ আমরা সেই ব্যাপারেই বলব। আপনি কি জানেন, মেহগনি গাছের চারাগাছ রোপণ করে কয়েক বছরের মধ্যে বিশাল সম্পদ তৈরি করা সম্ভব? অবশ্যই এই প্রক্রিয়ায় সময় লাগে, কিন্তু সব ভালো জিনিস সময়সাপেক্ষ।

মেহগনি গাছ অত্যন্ত মূল্যবান। এর প্রতিটি অংশ—কাঠ, বীজ, পাতা ও ফুল—বাজারে বিক্রির মাধ্যমে ভালো লাভ আনা যায়। এর কাঠ ব্যবহার হয় বাদ্যযন্ত্র, প্রতিমা, নৌকা ও শৌখিন সাজসজ্জার জিনিসপত্র তৈরিতে। মেহগনির বীজ ও পাতাও টনিক ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন প্রতিবেদনের মতে, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, হাঁপানি, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা রোগের চিকিৎসায় মেহগনি পাতার ব্যবহার হয়। কৃষিক্ষেত্রেও মেহগনি পাতার নির্যাস দিয়ে কিছু কীটনাশক তৈরি করা হয়। আবার সাবান, রং এবং বার্নিশ শিল্পেও মেহগনির পাতা থেকে তৈরি তেল ব্যবহৃত হয়।

মেহগনি গাছ অত্যন্ত মূল্যবান। এর প্রতিটি অংশ—কাঠ, বীজ, পাতা ও ফুল—বাজারে বিক্রির মাধ্যমে ভালো লাভ আনা যায়। এর কাঠ ব্যবহার হয় বাদ্যযন্ত্র, প্রতিমা, নৌকা ও শৌখিন সাজসজ্জার জিনিসপত্র তৈরিতে। মেহগনির বীজ ও পাতাও টনিক ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন প্রতিবেদনের মতে, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, হাঁপানি, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা রোগের চিকিৎসায় মেহগনি পাতার ব্যবহার হয়। কৃষিক্ষেত্রেও মেহগনি পাতার নির্যাস দিয়ে কিছু কীটনাশক তৈরি করা হয়। আবার সাবান, রং এবং বার্নিশ শিল্পেও মেহগনির পাতা থেকে তৈরি তেল ব্যবহৃত হয়।

ভারতের সমতলভূমি অঞ্চল, পার্বত্য এলাকা বাদে, মেহগনি চাষের জন্য উপযুক্ত। কৃষকরা তাদের গ্রামীণ জমিতে সহজেই মেহগনির চারা লাগাতে পারেন।

ভারতের সমতলভূমি অঞ্চল, পার্বত্য এলাকা বাদে, মেহগনি চাষের জন্য উপযুক্ত। কৃষকরা তাদের গ্রামীণ জমিতে সহজেই মেহগনির চারা লাগাতে পারেন।

মেহগনির কাঠ বাদামি থেকে লালচে রঙের হয়। প্রায় ১২ বছরে এই গাছ পূর্ণাঙ্গ রূপে বেড়ে ওঠে। বাজারে মেহগনির কাঠ প্রতি ঘনফুট ১,৩০০ টাকা থেকে ২,৫০০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হয়। কাঠের রঙ ও গুণমান অনুযায়ী দাম নির্ধারিত হয়। লালচে কাঠ বেশি দামে বিক্রি হয়, আর বাদামি কাঠের দাম তুলনামূলক কম। একটি মেহগনি গাছ প্রায় ৬০ থেকে ৮০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয় এবং ১২ বছরে ঘনবদ্ধভাবে বেড়ে ওঠে। বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি গাছ থেকে প্রায় ৪০ ঘনফুট কাঠ পাওয়া যায়। গড়ে প্রতি ঘনফুট কাঠ ১,৫০০ টাকায় বিক্রি হলে একটি মেহগনি গাছের দাম দাঁড়ায় প্রায় ৬০,০০০ টাকা।

মেহগনির কাঠ বাদামি থেকে লালচে রঙের হয়। প্রায় ১২ বছরে এই গাছ পূর্ণাঙ্গ রূপে বেড়ে ওঠে। বাজারে মেহগনির কাঠ প্রতি ঘনফুট ১,৩০০ টাকা থেকে ২,৫০০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হয়। কাঠের রঙ ও গুণমান অনুযায়ী দাম নির্ধারিত হয়। লালচে কাঠ বেশি দামে বিক্রি হয়, আর বাদামি কাঠের দাম তুলনামূলক কম। একটি মেহগনি গাছ প্রায় ৬০ থেকে ৮০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয় এবং ১২ বছরে ঘনবদ্ধভাবে বেড়ে ওঠে। বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি গাছ থেকে প্রায় ৪০ ঘনফুট কাঠ পাওয়া যায়। গড়ে প্রতি ঘনফুট কাঠ ১,৫০০ টাকায় বিক্রি হলে একটি মেহগনি গাছের দাম দাঁড়ায় প্রায় ৬০,০০০ টাকা।

প্রতি পাঁচ বছরে একবার মেহগনি গাছে বীজ ধরে। একটি গাছ থেকে প্রায় ৫ কেজি বীজ পাওয়া যায়। বাজারে প্রতি কেজি বীজের দাম ১,০০০ টাকা। অর্থাৎ ১২ বছর ধরে বীজ বিক্রি করে প্রায় ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।

প্রতি পাঁচ বছরে একবার মেহগনি গাছে বীজ ধরে। একটি গাছ থেকে প্রায় ৫ কেজি বীজ পাওয়া যায়। বাজারে প্রতি কেজি বীজের দাম ১,০০০ টাকা। অর্থাৎ ১২ বছর ধরে বীজ বিক্রি করে প্রায় ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।

এভাবে একটি মেহগনি গাছ থেকে ১২ বছরে প্রায় ৭০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়। একজন কৃষক ৫০০টি মেহগনি গাছ রোপণ করতে পারেন, এবং ১২ বছর পরে এই গাছগুলো বিক্রি করে তিনি প্রায় ৩ কোটি টাকা আয় করতে পারবেন। এই সময়ে কৃষকরা ইন্টিগ্রেটেড ফার্মিং বা সমন্বিত কৃষির মাধ্যমে জমিতে একাধিক ফসল একসঙ্গে চাষ করে আলাদা আয়ও করতে পারেন।

এভাবে একটি মেহগনি গাছ থেকে ১২ বছরে প্রায় ৭০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়। একজন কৃষক ৫০০টি মেহগনি গাছ রোপণ করতে পারেন, এবং ১২ বছর পরে এই গাছগুলো বিক্রি করে তিনি প্রায় ৩ কোটি টাকা আয় করতে পারবেন। এই সময়ে কৃষকরা ইন্টিগ্রেটেড ফার্মিং বা সমন্বিত কৃষির মাধ্যমে জমিতে একাধিক ফসল একসঙ্গে চাষ করে আলাদা আয়ও করতে পারেন।

জ্যেষ্ঠ কৃষিবিজ্ঞানী ড. ময়ঙ্ক রায়ের মতে, মেহগনি গাছের শিকড় খুব গভীর হয় না, তাই পাহাড়ি এলাকায় গাছ সহজে ভেঙে পড়তে পারে। জলাবদ্ধ বা পাথুরে জমিতেও এই গাছ লাগানো উচিত নয়। অতিরিক্ত গরম বা প্রচণ্ড ঠান্ডা আবহাওয়া এড়িয়ে চারা রোপণ করাই শ্রেয়।

জ্যেষ্ঠ কৃষিবিজ্ঞানী ড. ময়ঙ্ক রায়ের মতে, মেহগনি গাছের শিকড় খুব গভীর হয় না, তাই পাহাড়ি এলাকায় গাছ সহজে ভেঙে পড়তে পারে। জলাবদ্ধ বা পাথুরে জমিতেও এই গাছ লাগানো উচিত নয়। অতিরিক্ত গরম বা প্রচণ্ড ঠান্ডা আবহাওয়া এড়িয়ে চারা রোপণ করাই শ্রেয়।

অতএব, মেহগনি গাছ চাষ শুধু কৃষির নতুন দিগন্তই নয়, বরং গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার এক বিরল উপায়ও বটে। সঠিক পরিকল্পনা ও যত্ন নিলে কৃষকরা মেহগনি চাষের মাধ্যমে সত্যিই কোটিপতি হতে পারেন।

অতএব, মেহগনি গাছ চাষ শুধু কৃষির নতুন দিগন্তই নয়, বরং গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার এক বিরল উপায়ও বটে। সঠিক পরিকল্পনা ও যত্ন নিলে কৃষকরা মেহগনি চাষের মাধ্যমে সত্যিই কোটিপতি হতে পারেন।

Read Entire Article