Last Updated:September 01, 2025 2:57 PM IST
Profit Making Tips: ধান চাষে ভাল ফলন ও বেশি লাভ পেতে দরকার সঠিক যত্ন ও বৈজ্ঞানিক নিয়ম মেনে চলা।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিখ্যাত ধান চাষের জন্য। জেলার অধিকাংশ চাষি ধান চাষের উপর নিজেদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে। চলতি মরশুমে, প্রায় ৯০ শতাংশ কৃষি জমিতে ধান চাষ হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়, দাঁতন, সবং, পিংলা, কেশিয়াড়ি সহ বিভিন্ন ব্লকে বিঘার পর বিঘা চাষযোগ্য জমিতে ধানের চাষ হয়েছে। তবে রোয়ার পর কী কী সার বা কীটনাশক প্রয়োগ করা উচিত, জানুন।(তথ্য ও ছবি: রঞ্জন চন্দ)
ইতিমধ্যেই রোয়ার কাজ সম্পন্ন। বিভিন্ন সার, কীটনাশক কিংবা জৈব উপায়ে ধান গাছের ছোট্ট চারা রোপন করা শেষ। এবার ধান গাছ বৃদ্ধির সময়। এই সময় চাষের জমিতে কী কী ধরনের সার বা ওষুধ প্রয়োগ করা উচিত, জানালেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা সৌমেন মন্ডল। তিনি জানান, "রোপনের পর গাছের বৃদ্ধির জন্য নাইট্রোজেন যুক্ত সার ব্যবহার করা উচিত। তাও শিশির ভেজা পাতা না থাকলেই তবে স্যার প্রয়োগ করা যাবে। এক্ষেত্রে মাটিতে নাইট্রোজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।"(তথ্য ও ছবি: রঞ্জন চন্দ)
শুধু তাই নয়, বিভিন্ন চাষের জমিতে রোপনের তারতম্যের কারণে পাতার রং বিভিন্ন রকমের হয়। গাঢ় সবুজ পাতার রং হলে সেক্ষেত্রে প্রয়োজন নেই নাইট্রোজেন যুক্ত ইউরিয়া কিংবা অন্যান্য স্যারের। ৩০ থেকে ৬০ দিনের মাথায় প্রয়োগ করা যাবে অন্যান্য ওষুধ। জানিয়েছেন ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তা।(তথ্য ও ছবি: রঞ্জন চন্দ)
শুধু তাই নয়, ৩০ থেকে ৫৫ দিনের মাথায় যদি এক লিটার জলে হাফ গ্রাম জিংক দেওয়া হয় তবে ধানের পুষ্টি হবে। শুধু তাই নয়, ফলনও বেশি হবে। স্বাভাবিকভাবে পরিচর্যা করলেই অনায়াসে ভাল ফলন পাওয়া যাবে ধান চাষে। (তথ্য ও ছবি: রঞ্জন চন্দ)
শুধু তাই নয়, ধান গাছের গোড়াতে আগাছা দমন করে এবং জল বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা থাকলে ধান গাছের জমি থেকে জল ড্রেন করে বের করে দেওয়া উচিত বলেই মনে করছেন সহ কৃষি অধিকর্তা সৌমেন মন্ডল। এক্ষেত্রে গাছের পচন রোগ হবে না। (তথ্য ও ছবি: রঞ্জন চন্দ)
স্বাভাবিকভাবে, বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে এবং সতর্কভাবে ধান চাষ করলে প্রতিমরশুমের ব্যাপক ফলন এবং লাভ মিলতে পারে চাষিদের। সেই বার্তা দিয়েছেন কৃষি আধিকারিক।(তথ্য ও ছবি: রঞ্জন চন্দ)