Last Updated:September 04, 2025 9:57 AM IST
এয়ার কন্ডিশনার, বড় টেলিভিশন, মনিটর, প্রজেক্টর এবং ডিশওয়াশার সহ ভোগ্যপণ্যের দাম ২৮% থেকে কমে ১৮% হয়েছে, যার ফলে বড় যন্ত্রপাতি আরও সাশ্রয়ী মূল্যের হয়ে উঠবে।

‘ঐতিহাসিক দীপাবলি গিফ্ট’৷ GST 2.0 -কে এভাবেই নামাঙ্কিত করছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ নতুন GST আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে বলে জানা গিয়েছে৷ এই নতুন প্রক্রিয়ায় চারটি স্ল্যাবের GST -র বদলে তা নামিয়ে আনা হয়েছে মাত্র দু’টি স্ল্যাবে৷ 5% এবং 18%৷ তবে বিলাসবহুল দ্রব্য এবং সিন গুডসের উপরে 40% জিএসটি ধার্য করা হয়েছে৷ এতে উৎসবের মরসুমের আগে সার্বিক ভাবে ভারতের বাজার চাঙ্গা হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷
মাথার তেল থেকে শ্যাম্পু, টুথপেস্ট, বাথরুমের সাবান, শেভিং ক্রিম এবং টুথব্রাশের মতো প্রতিদিনের দ্রব্য এবার ১৮ শতাংশের বদলে পড়ছে ৫ শতাংশের স্ল্যাবে৷ এছাড়া, মাখন, ঘি, চিজ, নোনতা খাবার, দুগ্ধজাত দ্রব্য, বাসনপত্র ইত্যাদিও ১২ শতাংশের বদলে এবার থেকে পড়ছে ৫ শতাংশের স্ল্যাবে৷ বাচ্চাদের দুধের বোতল, ক্লিনিকাল ডায়াপার এবং সেলাই মেশিনও চলে যাচ্ছে ৫ শতাংশের স্ল্যাবে৷
স্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্য বিমা প্রিমিয়াম এই সবের উপরে আগের নিয়মে ১৮ শতাংশ কর ধার্য ছিল, বর্তমানে সমস্ত স্বাস্থ্য ক্ষেত্র থেকেই GST তুলে দেওয়া হয়েছে৷ মেডিক্যাল গ্রেড অক্সিজেন, টেস্ট স্ট্রিপস, চশমা এবং গ্লুকোমিটার, থার্মোমিটারের উপরে রাখা হয়েছে মাত্র ৫ শতাংশ কর৷
ছাত্রছাত্রীরাও এই GST-তে দারুণ ভাবে লাভবান হয়েছে৷ পড়াশোনার বিভিন্ন লার্নিং ম্যাটেরিয়াল সমস্ত কিছুতেই GST সম্পূর্ণ ছাড় দেওয়া হয়েছে৷ ম্যাপ, চার্ট, গ্লোব, খাতা, পেনশিল, মোমরঙ, শার্পনার, ইরেজার সবই সম্পূর্ণরূপে জিএসটি মুক্ত৷ ফলে পড়াশোনার সমস্ত জিনিসেরই দাম কমবে৷
ট্র্যাক্টর টায়ারের জিএসটি ১৮ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশের স্ল্যাবে নিয়ে আসা হয়েছে৷ ট্র্যাক্টর নেমে এসেছে ১২ থেকে ৫ শতাংশের স্ল্যাবে৷ বায়ো পেস্টিসাইডস, মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টস, ড্রিপ ইরিগেশন সিস্টেম এবং চাষের যন্ত্রপাতি সব কিছুরই দাম কমবে বলে মনে করা হচ্ছে৷
নির্দিষ্ট ধরনের পেট্রোল, ডিজেল এবং সিএনজি গাড়ি, যা আগে ২৮% স্ল্যাবে ছিল, এখন তা ১৮% নেমে এসেছে। তিন চাকার গাড়ি, ৩৫০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল এবং পণ্য পরিবহনের জন্য বাণিজ্যিক যানবাহনের ক্ষেত্রেও একই জিনিস প্রযোজ্য হয়েছে।
এয়ার কন্ডিশনার, বড় টেলিভিশন, মনিটর, প্রজেক্টর এবং ডিশওয়াশার সহ ভোগ্যপণ্যের দাম ২৮% থেকে কমে ১৮% হয়েছে, যার ফলে বড় যন্ত্রপাতি আরও সাশ্রয়ী মূল্যের হয়ে উঠবে।
হার কমানোর বাইরেও, কাউন্সিল তিন কার্যদিবসের মধ্যে জিএসটি নিবন্ধন, সিস্টেম-ভিত্তিক মূল্যায়ন, রিফান্ড ব্যবস্থার সরলীকরণের মতো পদ্ধতিগত কিছু অনুমোদন করেছে।