Last Updated:August 26, 2025 6:06 PM IST
Benefits and Risks Of Selling Gold: অনেকেই সোনার গয়না বিক্রি করে নগদ অর্থ পেতে চান। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এতে কতটা লাভ হয়? বাজারদর, কাটতি চার্জ এবং রিসেল ভ্যালুর হিসেবে হাতে আসলেই কত টাকা পাওয়া যায়, জেনে নিন।

ভারতীয়দের কাছে সোনা কেবল একটি ধাতু নয়, নিরাপদ বিনিয়োগের জন্যও একটি দুর্দান্ত বিকল্প। বিয়ে হোক বা উৎসব, সোনা সবসময়ই একটি নির্ভরযোগ্য বিনিয়োগ বিকল্প হিসাবে বিবেচিত হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হল বার বার সোনার গয়না কেনা এবং বিক্রি করা কি লাভজনক না কি তা ক্ষতির বিষয়? উদাহরণ দিয়ে সম্পূর্ণ হিসাবটি বুঝে নেওয়া যাক!
এর সুবিধা কী হতে পারে?
বৃদ্ধিতে লাভ: কেউ যদি কম দামে সোনা কিনে থাকেন এবং কয়েক মাসের মধ্যে দাম বেড়ে যায়, তাহলে তা বিক্রি করে ভাল লাভ করতে পারেন।
তরল সম্পদ: প্রয়োজনের সময় সোনাকে তাৎক্ষণিকভাবে নগদে রূপান্তর করা যায়। শেয়ার বা সম্পত্তির মতো এটি বিক্রি করার কোনও দীর্ঘ প্রক্রিয়া নেই।
বাজারের নমনীয়তা: সোনার দাম প্রতিদিন পরিবর্তিত হয়। ব্যবসায়ীরা এই ওঠানামার সুযোগ নিতে পারেন।
অসুবিধাগুলি কী কী হতে পারে?
কর পরিশোধের খরচ এবং কর: গয়না তৈরির খরচ এবং জিএসটি লাগে। বার বার কেনা-বেচার সময় এই খরচগুলো লাভ কমিয়ে দেয়।
দামের ঝুঁকি: সোনার দাম সবসময় যে বাড়ে, তা নয়। কখনও কখনও বিশ্ববাজার বা ডলারের শক্তির কারণে সোনার দাম কমে যায়।
দীর্ঘমেয়াদী লাভ থেকে বঞ্চিত হওয়া: যদি কেউ স্বল্পমেয়াদী লাভের জন্য বার বার সোনা বিক্রি করতে থাকেন, তাহলে সোনার দীর্ঘমেয়াদী চক্রবৃদ্ধি লাভের সুবিধা নেওয়া সম্ভব হয় না।
সম্পূর্ণ হিসেবটি দেখা যাক-
যদি কেউ ১ লক্ষ টাকায় ১০ গ্রাম সোনা কিনে ৬ মাস পর ১০% বার্ষিক রিটার্নে বিক্রি করেন, তাহলে ৫,০০০ টাকা লাভ হবে। অন্য দিকে, ৫ বছর পর লাভ ৬১,০৫১ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
কিন্তু যদি কেউ সোনার গয়না কেনেন, তাহলে তৈরির খরচ (১৫%) এবং GST (৩%) সহ মোট খরচ হতে পারে ১,১৮,৪৫০ টাকা। ৬ মাস পরে যদি গয়না বিক্রি করেন, তাহলে তৈরির খরচ এবং GST আদায় করা যাবে না, যার ফলে ৯৯,৭৫০ টাকা, অর্থাৎ ১৯,৭০০ টাকার ক্ষতি হতে পারে।
মোট সোনা: ১০ গ্রাম
মেকিং চার্জ- ১৫,০০০ টাকা (গড় ১৫%)
জিএসটি: ৩,৪৫০ টাকা (গড় ৩%)
মোট পরিমাণ- ১,০০,০০০ টাকা + ১৫,০০০ + ৩,৪৫০ + ১,০০০ = ১,১৮,৪৫০ টাকা
৬ মাসের মধ্যে বিক্রি করলে লাভ বা ক্ষতি – ১৩,৪৫০ টাকার ক্ষতি
৫ বছর পর বিক্রি করলে লাভ বা ক্ষতি – ৪২,৬০১ টাকা লাভ
অতএব, বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে সোনার কয়েন বা বার বিনিয়োগের জন্য একটি ভাল বিকল্প কারণ এগুলোতে কোনও মেকিং চার্জ নেই। তবে, কিছু বিশেষজ্ঞ সোনায় ডিজিটাল বিনিয়োগকে বেশি বিশ্বাস করেন, কারণ এটি আরও নিরাপদ।