Last Updated:August 25, 2025 3:29 PM IST
শুধুমাত্র পেঁপে চাষ নয়, কোনওরকম প্রশিক্ষণ ছাড়াই তিনি তৈরি করেছেন এক নতুন প্রজাতির পেঁপে। যা সাধারণ পেঁপের থেকে অনেক বেশি উচ্চফলনশীল।
মগড়া, হুগলি, সোমনাথ ঘোষ: পেঁপে চাষ করে নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন হুগলির চুঁচুড়া মগরা ব্লকের এক পেঁপে চাষি কৃষ্ণচন্দ্র হালদার। শুধুমাত্র পেঁপে চাষ নয়, কোনওরকম প্রশিক্ষণ ছাড়াই তিনি তৈরি করেছেন এক নতুন প্রজাতির পেঁপে। যা সাধারণ পেঁপের থেকে অনেক বেশি উচ্চফলনশীল। এভাবেই পেঁপে চাষ করে লক্ষাধিক টাকা লক্ষ্মী লাভ করছেন হুগলির মগড়ার এই পেঁপে চাষি। আধুনিক পেঁপে চাষ করার জন্য পেয়েছেন তিনি একাধিক পুরস্কারও।
চুঁচুড়া মগরা ব্লকের উত্তর শিমলা গ্রাম। ১৯৮৬ সাল থেকে তিনি পেঁপে চাষ করে আসছেন। প্রথমদিকে তিনি দেশীয় পেঁপে চাষ করতেন। পরবর্তীতে নিজেই ক্রস পলিনেশন পদ্ধতির মাধ্যমে নতুন পেঁপের প্রজাতি তৈরি করেন। এমন পেঁপে যা ওজনে হবে ৭০০ গ্রাম থেকে এক কেজির মধ্যে এবং যার ফলন সারা বছরব্যাপী। নতুন এই ধরনের পেঁপে তিনি উৎপাদন করতে শুরু করেন এবং তা থেকেই হয় তার ব্যাপক আকারের মুনাফা লাভ।
এই বিষয়ে হুগলির ওই চাষি কৃষ্ণচন্দ্র হালদার তিনি জানিয়েছেন, চাষ করার জন্য তিনি একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন। তার এক বিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করতে খরচ হয় প্রায় এক লক্ষ টাকা এবং সেগুলিকে বিক্রি করে তার আয় হয় পাঁচ লক্ষ টাকা। চার লক্ষ টাকা থাকে তার মুনাফা। গোটা রাজ্যব্যাপী তার পেঁপে রফতানি হয়। পেঁপের এতটাই চাহিদা রয়েছে শুধুমাত্র পাকা পেঁপে নয়, কাঁচা পেঁপেও বিক্রি হয়। পেঁপের আকৃতি মূলত তিনি এক কেজির মধ্যে রাখার চেষ্টা করেন, কারণ তার থেকে বড় পেঁপে হলে সেগুলোর দাম কমে যায়।
অন্যদিকে পেঁপে যদি ছোট আকৃতির হয় তাহলে তার দাম ভাল থাকে। সেই কারণেই ছোট আকৃতিতে কিন্তু সংখ্যায় বেশি এমন পেঁপে উৎপাদন করার জন্যই তিনি প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। অবশেষে দেশীয় পেঁপের সঙ্গে হাইব্রিড পেঁপের ক্রস পলিনেশন ঘটিয়ে তিনি এক নতুন প্রজাতির পেঁপে তৈরি করেন, যা বাকি পেঁপের তুলনায় উচ্চ ফলনশীল। একাধিক স্বীকৃতি এবং চাষের কাজে মুনাফা।
Location :
Kolkata [Calcutta],Kolkata,West Bengal
First Published :
August 25, 2025 3:29 PM IST