TMC MLA wishing Nepal Like Unrest in India: 'আর কবে?', নেপালের উল্লেখ করে বিস্ফোরক TMC বিধায়ক হুমায়ুন কবির

7 hours ago 2

নেপালে গণঅভ্যুত্থানে বিদায় নিয়েছে কেপি শর্মা ওলির সরকার। সেই রাজ্যে সরকারি অফিস, মন্ত্রীদের বাসভবন থেকে সংসদ সব পুড়িয়ে দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। আর সেই প্রেক্ষাপটে এবার তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাক্ত আইপিএস অফিসার হুমায়ুন কবির বিস্ফোরক একটি পোস্ট করলেন ফেসবুকে। সেখানে তিনি লিখলেন, 'কবে যে আমাদের দেশের তানাশাহীদের এই হাল হবে! অহিংস পথে দুর্নীতির শিরোমণিদের মুখোশ খুলে যাবে! আর কবে? আর কবে? আপনারাও কি আমার মতো স্বপ্ন দেখেন?' এদিকে রাজ্যের শাসকদলের নির্বাচিত এক বিধায়ক কেন এমন কথা বলবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। শুরু হয়েছে বিতর্ক। (আরও পড়ুন: ভারতকে চ্যালেঞ্জ করায় গদি হারালাম, গদি হারিয়ে বিস্ফোরক নেপালের ওলি)

আরও পড়ুন: বড়সড় হামলার ছক দেশে? একাধিক রাজ্য থেকে ৫ জঙ্গি গ্রেফতার, মিলল IED-র অংশ

এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে উত্তরবঙ্গ সফরে যান নেপালের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির আবহে। তিনি নেপালের পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশে সঙ্গে কথা বলেছেন। এদিকে নেপালে আটকে পড়া ভারতীয়রা পশ্চিমবঙ্গের পানিট্যাঙ্কি সীমান্ত দিয়েই দেশে ফিরছেন। নেপালে আটকে পড়া বাঙালিদের রাজ্যে ফেরানো নিয়ে আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। এই আবহে গত পরশু উত্তরকন্যায় রাত জেগে পরিস্থিতির ওপর নজরদারি চালান মমতা। উত্তরবঙ্গে নেপাল সীমান্তে কয়েকশো ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল হিংসার আবহে। পানিট্যাঙ্কিতেও দোকানপাট বন্ধ ছিল। এমন সংবেদনশীল আবহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বলেন, নেপাল নিয়ে যা বলার কেন্দ্র এবং বিদেশ মন্ত্রক বলবে। এই পরিস্থিতিতে হুমায়ুনের এই বক্তব্য ঘিরে চর্চা এবং বিতর্ক তুঙ্গে।

এই আবহে গতকাল মমতা জলপাইগুড়ির সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে বলেন, 'নেপালে প্রবলেম শুনেই সঙ্গে সঙ্গে ছুটে এসেছি। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি শান্তি ফিরবে। আমরা পরিস্থিতি মনিটর করছি। অনেকে নেপালে বেড়াতে গিয়েছেন, তাঁদের চিন্তা করার দরকার নেই। রাজ্য সরকার বিষয়টা হাতে নিয়েছে। রাজ্য সরকার ফিরিয়ে আনবে।' প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গ থেকে নেপালের দূরত্ব কম হওয়ায় সীমান্ত সংলগ্ন থানাগুলোকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য প্রশাসন ও এসএসবি যৌথভাবে নজরদারি চালাচ্ছে। দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, সীমান্তে নাকা চেকিং শুরু হয়েছে। পাশাপাশি নেপালে কোনও ভারতীয় নাগরিক সমস্যায় পড়লে দার্জিলিঙ জেলা পুলিশের হেল্পলাইনে যোগাযোগ করলে সর্বাত্মক সাহায্য করা হবে। নেপাল পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

Read Entire Article