রেশন দুর্নীতিতে জ্যোতিপ্রিয় সহ ৩ জনের জামিন খারিজে তৎপর ইডি, আদালতের দ্বারস্থ

19 hours ago 10

রেশন দুর্নীতি মামলায় নতুন করে সক্রিয় ইডি। প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ আনিসুর রহমান-সহ আরও এক অভিযুক্তের জামিন বাতিল করতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল ইডি। মামলাটি আগামী ১২ সেপ্টেম্বর বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের এজলাসে শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আরও পড়ুন: বিচার ভবনে হাজিরা জ্যোতিপ্রিয়র, হাতের লেখার নমুনা নিতেই তলব?

২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর প্রাক্তন বনমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করে ইডি। তদন্তকারীদের অভিযোগ ছিল, রাজ্যে রেশন বিতরণে বহু হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির সঙ্গে তিনি সরাসরি যুক্ত। দীর্ঘ জেরা এবং প্রমাণ সংগ্রহের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। প্রায় ১৪ মাস কারাবাসের পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে আদালতের নির্দেশে জামিন পান জ্যোতিপ্রিয়। এরপর একই মামলায় অভিযুক্ত তাঁর সহযোগী আনিসুর রহমানও জামিনে মুক্ত হন। তদন্তকারী সংস্থার আশঙ্কা, মুক্ত অবস্থায় থাকলে অভিযুক্তরা তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারেন। তাঁদের অভিযোগ, সাক্ষীদের প্রভাবিত করা বা গুরুত্বপূর্ণ নথি নষ্ট করার সম্ভাবনা রয়েছে। ইডির দাবি, এই মামলার তদন্ত এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে এবং আর্থিক অনিয়মের পরিমাণ হাজার কোটি টাকারও বেশি হতে পারে। তাই অভিযুক্তদের বাইরে রাখা তদন্তকে ব্যাহত করতে পারে বলেই মনে করছে ইডি।

আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, হাই কোর্টে আসন্ন এই শুনানি কেবল আইনি দিক থেকেই নয়, রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা নেবে। দুর্নীতির ইস্যুতে বিরোধীরা যখন শাসক দল তৃণমূলকে ঘিরে আক্রমণ শানাচ্ছে, তখন ইডির পদক্ষেপ রাজ্য রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে। জেল থেকে মুক্তির পর অসুস্থতার কারণে কিছুদিন সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তবে সম্প্রতি আবারও দলীয় কার্যক্রমে তাঁর সক্রিয়তা বেড়েছে। হাবড়ায় বিধানসভা এলাকায় গিয়ে সংগঠনের কাজে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি, সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিট দফতরে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকেও অংশ নেন তিনি।

আগামী ১২ সেপ্টেম্বর হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণেই নির্ভর করছে মামলার ভবিষ্যৎ দিক। আদালত ইডির আবেদন মঞ্জুর করলে ফের কারাবন্দি হতে পারেন অভিযুক্তরা। তবে জ্যোতিপ্রিয়র আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এখনও মামলার কাগজ তাঁদের হাতে পৌঁছায়নি। তবে বিষয়টি নজরে আসতেই তাঁরা আইনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

Read Entire Article