হোমখবরSupreme Court: অনির্দিষ্টকাল রাজ্যের বিল আটকে রাখা নিয়ে তরজা, শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট বলল, ‘নেপালে যা হচ্ছে...'
Presidential Reference Hearing: রাজ্য়ের নির্বাচিত সরকারের দ্বারা বিধানসভায় পাস হওয়া বিল রাজ্যপাল এবং রাষ্ট্রপতি অনির্দিষ্টকাল ফেলে রাখতে পারেন না বলে আগেই জানিয়েছিল আদালত।
By : ABP Ananda | Edited By: pampaas | Updated at : 10 Sep 2025 09:00 PM (IST)
নয়াদিল্লি: নির্বাচিত সরকারের পাঠানো বিল রাজ্যপাল এবং রাষ্ট্রপতি অনির্দিষ্টকাল আটকে রাখতে পারেন কি না, তা নিয়ে বিতর্ক চরমে। সেই আবহেই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করল দেশের সুপ্রিম কোর্ট। নেপাল এবং বাংলাদেশের নৈরাজ্য-পরিস্থিতির উল্লেখ করল শীর্ষ আদালত। ভারতের সংবিধানের স্থিতিশীল কাঠামোর প্রশংসা করা হল। (Presidential Reference Hearing)
রাজ্য়ের নির্বাচিত সরকারের দ্বারা বিধানসভায় পাস হওয়া বিল রাজ্যপাল এবং রাষ্ট্রপতি অনির্দিষ্টকাল ফেলে রাখতে পারেন না বলে আগেই জানিয়েছিল আদালত। এমনকি তিন মাসের সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আদালতের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। বুধবার সেই নিয়ে শুনানিতেই নেপাল এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক অশান্তির প্রসঙ্গ উঠল। (Supreme Court)
এদিন শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই বলেন, “দেশের সংবিধান নিয়ে গর্ব বোধ করি আমরা। বিশেষ করে পড়শি দেশগুলিকে যখন দেখি…গতকাল নেপালে যা হয়েছে…।” বিচারপতি বিক্রম নাথ সংযোগ করেন, “হ্যাঁ, বাংলাদেশও।” CJI গাভাই নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্তে বিচারপতি সূর্যকান্ত, বিচারপতি পিএস নরসিংহ এবং বিচারপতি এএস চন্দুরকরও ছিলেন।
রাজ্যপাল এবং রাষ্ট্রপতি অনির্দিষ্টকাল বিল ফেলে রাখা নিয়ে শুনানি চলাকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা ১৯৭০ থেকে গত ৫৫ বছরের পরিসংখ্যান তুলে ধরতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, গত ৫৫ বছরে মাত্র ২০টি বিলই আটকে রাখা হয়েছিল। ৯০ শতাংশ বিলইউ একমাসের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং হাতেগোনা কয়েকটি বিল ছ’মাসের বেশি পড়েছিল বলেও দাবি করেন তিনি। কিন্তু তাঁকে থামিয়ে দেয় আদালত। কারণ ঠিক কতগুলি বিল আটকে রাখা হয়, তা নিয়ে অভিষেক মনু সিংভি যখন পরিসংখ্যান দিতে চান, তাতে আপত্তি জানিয়েছিলেন মেহতা। তাই তাঁর পরিসংখ্যানও গৃহীত হবে না বলে জানায় আদালত। মনু সিংভি এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইনজীবী কপিল সিব্বলও এতে আপত্তি জানান। তাঁদের হিসেব যে গৃহীত হয়নি, তা তুলে ধরেন।
আদালত জানায়, অন্যদের পরিসংখ্য়ান না শুনে, শুধু তাঁর হিসেব শোনা অন্য়ায় হবে। এতে মেহতা বলেন, “সিংভি রাজ্যের পরিসংখ্যান তুলে সমস্যা বোঝাতে চাইছেন। আমি সমস্যা দেখাতে চাইছি না। ১৯৭০ থেকে ৫৫ বছর ধরে সংবিধান কীভাবে কার্যকর হয়েছে, তা বোঝাতে পরিসংখ্যান দিতে চাইছি।” এতে আদালত বলে, “তাহলে ওঁদের পরিসংখ্যানও দেখতে হয়। বিষয়টি একতরফা হতে পারে না। ওঁদের পরিসংখ্যানে আপত্তি জানাচ্ছেন আপনি। আপনার ক্ষেত্রেও সেটি প্রযোগ্য। আপনি আপত্তি জানিয়েছিলেন, এখন তা থেকে সরলে হবে না। আইন নিয়ে কতা বলুন। ওঁরা রাজ্যের পরিসংখ্যান তুলে ধরতে চাইছিলেন, যাতে দিনের এবং বছরের হিসেব রয়েছে। রাজ্যপালের কাছে পড়ে থাকা বিলের সংখ্যা রয়েছে ওঁদের কাছে। আপনি সেটি দেখাতে দিলেন না, অথচ এখন সর্বভারতীয় পরিসংখ্যান তুলে ধরছেন।”
এতে মেহতা জানান, তিনি শুধু বোঝাতে চেয়েছিলেন ৫৫ বছরে মাত্র ২০টি বিলই আটকেছে। কিন্তু বিচারপতি নাথ বলেন, “হতে পারে, কিন্তু এটি প্রাসঙ্গিক কেন? ৭৫ বছর ধরে সংবিধান এবং গণতন্ত্র মেনে দেশ চলছে। ৫০টি বিল আটকে যাক বা ৯০টি বিল, কেন্দ্রেও সরকার চলছে, রাজ্যেও চলছে। তাই এই প্রসঙ্গ থাক।”
Published at : 10 Sep 2025 08:51 PM (IST)
Sponsored Links by Taboola