উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে ফের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অসম থেকে বাংলার কয়েকজনের নামে এনআরসি-র নোটিস পাঠিয়ে তাঁদের সেখানে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। এই ঘটনা ঘিরে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। প্রশ্ন তোলেন, কেন এরাজ্যের মানুষকে অসমে গিয়ে হাজিরা দিতে হবে? এটা কোন যুক্তিতে হচ্ছে?
আরও পড়ুন: উত্তরকন্যায় রাত জাগলেন মমতা, পানিট্যাঙ্কিতে যাচ্ছেন রাজ্যপাল
শুধু তাই নয়, বাংলায় কথা বললেই ভিন রাজ্যে বাংলাদেশে পুশব্যাক করার ঘটনা নিয়েও গর্জে ওঠেন মমতা। তাঁর কটাক্ষ, এখানকার শ্রমিকরা উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, বিহার, মধ্যপ্রদেশে গেলে হেনস্তা করা হয়। তাড়িয়ে দেয়। কিন্তু এখানে থাকা অন্য রাজ্যের মানুষদের উপর কোনওদিন অত্যাচার করা হয় না, বরং আপন করে নিয়ে ভালোবাসে। এরপরেই ডবল ইঞ্জিন সরকারের বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছুঁড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘দেখি কার এত সাহস আছে, কত অত্যাচার করতে পারে!’
একইসঙ্গে তিনি আশ্বাস দেন, পরিযায়ী শ্রমিকরা বাংলায় ফিরলে তাঁদের পাশে দাঁড়াবে সরকার। তাঁদের পুনর্বাসন ও জীবিকা নির্বাহের জন্য সবরকম সাহায্য করা হবে বলেও জানান মমতা। মমতার অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় যেসব বিষয় রাজ্যের অধীনে থাকে, তাতেও হস্তক্ষেপ করছে বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্র। বারবারই তিনি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রসঙ্গ তুলেছেন। এদিনও সেই সুরেই আক্রমণ শানালেন। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, উত্তরবঙ্গের মঞ্চ থেকে এই ভাষণ আসলে ২০২৬-এর ভোটের আগেই বঞ্চনার ইস্যু উসকে দেওয়ার কৌশল। তৃণমূলের অন্দরমহলের বক্তব্য, এনআরসি-র মতো ইস্যু তুলে ধরে মমতা আসলে বাংলার মানুষকে সতর্ক করছেন। অন্যদিকে বিজেপির দাবি, মমতা রাজনৈতিক লাভের জন্য ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছেন।