পুড়ছে নেপাল। এই আবহে পানিট্যাঙ্কি সীমান্তে সতর্ক এসএসবি এবি পুলিশ। এরই মাঝে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বসু বুধবার দার্জিলিংয়ের পানিট্যাঙ্কিতে ভারত-নেপাল সীমান্তে একটি স্থানীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। তাঁর সাথে থাকবেন লেডি গভর্নর লক্ষ্মী আনন্দ বসু, রাজ্যপালের এডিসি রাহুল পান্ডে, রাজ্যপালের ওএসডি শ্রীকুমার বন্দোপাধ্যায়, পিএসও রাকেশ পান্ডে এবং পরিচারক অভিজিৎ ঠাকুর এবং অমিতাভ বসু। জেন জি-র বিক্ষোভ এবং প্রতিবেশী দেশ নেপালে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সীমান্ত শহরগুলিতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে তাঁর এই সফর বেশ উল্লেখযোগ্য। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও উত্তরবঙ্গে আছেন এখন। তিনি নেপালের পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশে সঙ্গে কথা বলেছেন। এদিকে নেপালে আটকে পড়া ভারতীয়রা পশ্চিমবঙ্গের পানিট্যাঙ্কি সীমান্ত দিয়েই দেশে ফিরছেন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তরকন্যায় রাত জেগে পরিস্থিতির ওপর নজরদারি চালান মমতা। এই নিয়ে তৃণমূলের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করা হয়। তার ক্যাপশনে লেখা হয়, 'পড়শি দেশ নেপালের অবস্থা উদ্বেগজনক। তাই রাজ্যের স্বার্থে, রাত জেগে উত্তরকন্যায় বসে পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।' এর আগে উত্তরবঙ্গ যাওয়া আগে নেপালের অশান্তি নিয়ে গতকাল বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, 'প্রতিবেশী ভালো থাকলে আমরাও ভালো থাকব। কেউ যেন অশান্তিতে জড়িয়ে না পড়েন। নেপাল নিয়ে যা বলার কেন্দ্র বলবে। প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপালকে আমরা ভালোবাসি।' তিনি আরও বলেন, কেন্দ্র যদি রাজ্য সরকারকে এই সংক্রান্ত কোনও নির্দেশ দেয়, তাহলে সেই অনুযায়ী কাজ করা হবে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গে নেপাল সীমান্তে কয়েকশো ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে ওপারের অশান্তির জন্য। এদিকে পানিট্যাঙ্কিতেও দোকানপাট বন্ধ। এদিকে সীমান্তে সোমবার দুপুর থেকেই কড়াকড়ি বাড়ানো হয়েছে। পরিচয়পত্র পরীক্ষা ছাড়া সীমান্ত পারাপার কঠিন। এপাশে এসএসবি, ওপাশে নেপালি সেনা সতর্ক রয়েছে। রাজ্যের তরফেও পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। জানানো হয়েছে, নেপালের পরিস্থিতি অস্থির থাকলে পর্যটনে বড় প্রভাব পড়বে, ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল থেকে সোার কারিগরদের নিয়ে যে বাস নেপাল যায়, সেই পরিষেবা আপাতত বন্ধ। জেলার হাজার হাজার কারিগর নেপালে যান কাজ সোনার করতে। এই আবহে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বহু কারিগর নেপালে আটকে পড়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। এদিকে নেপালে বসবাসরত ভারতীয় নাগরিকদের 'সতর্কতা অবলম্বন করতে এবং নেপালি কর্তৃপক্ষের জারি করা পদক্ষেপ ও নির্দেশিকা মেনে চলার' পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিবৃতিতে। এদিকে জনবিক্ষোভে ২১ জনের মৃত্যু দুঃখ প্রকাশ কেছে ভারত। শান্তিপূর্ণ উপায়ে এবং সংলাপের মাধ্যমে সমস্ত ইস্যু নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে ভারত।