Last Updated:August 18, 2025 3:15 PM IST
Monthly salary is high but still unhappy: চার্টার্ড অ্যাকাউট্যান্ট নীতিন কৌশিকের মতে, জীবনযাত্রার মূল্যস্ফীতিই হল উচ্চ উপার্জনের পরেও মানুষের আর্থিকভাবে অসন্তুষ্ট থাকার অন্যতম প্রধান কারণ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি এখন বেশ পরিচিত এক নাম। এ হেন চার্টার্ড অ্যাকাউট্যান্ট নীতিন কৌশিকের মতে, জীবনযাত্রার মূল্যস্ফীতিই হল উচ্চ উপার্জনের পরেও মানুষের আর্থিকভাবে অসন্তুষ্ট থাকার অন্যতম প্রধান কারণ। আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ব্যয়ও বৃদ্ধি পেতে থাকে, যা প্রায়শই আয় বৃদ্ধির হারকে ছাড়িয়ে যায়। এর ফলে এমন একটি চক্র তৈরি হয় যেখানে মানুষ তাদের আর্থিক নিরাপত্তা উন্নত না করেই বাড়ি, গাড়ি, ছুটি কাটানো, পোশাক এবং বাইরে খাওয়া এ সবের জন্য খরচ বাড়িয়ে চলে। (Representative Image)
সাফল্যের এই বাহ্যিক প্রদর্শন নজরকাড়া মনে হতেই পারে, কিন্তু পর্দার আড়ালে থাকে ন্যূনতম সঞ্চয় এবং আর্থিক স্বাধীনতা বরাবর নাগালের বাইরেই রয়ে যায়, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট বলেন। কৌশিক এই প্রসঙ্গে একজন শহুরে পেশাদারের উদাহরণ তুলে ধরেন, যিনি মাসে ৪.৫ লক্ষ টাকা বা বার্ষিক ৫৪ লক্ষ টাকা আয় করেন। আনুমানিক ১২ লক্ষ টাকা কর দেওয়ার পর তাঁর হাতে থাকে প্রায় ৪২ লক্ষ টাকা। (Representative Image)
কাগজে কলমে এটি একটি আরামদায়ক জীবনযাত্রার ইঙ্গিত দেয়। তবে, বাস্তব জীবনের ব্যয় ভিন্ন গল্প বলে। শহুরে পেশাদারদের ব্যয়ের একটি ছবি তুলে ধরে সিএ বলেন, বার্ষিক ভাড়া এবং সংসারের খরচ ১৮ লক্ষ টাকা, বাচ্চাদের স্কুলের ফি আরও ৬ লক্ষ টাকা, মুদি, জ্বালানি এবং গৃহকর্মীর জন্য প্রায় ৪.৫ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। বাইরে খাওয়া-দাওয়া, নানা অনুষ্ঠান এবং উপলক্ষ্য উদযাপনের জন্য ৩ লক্ষ টাকা, ভারত এবং বিদেশ ভ্রমণে ৪-৫ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। বিমা প্রিমিয়াম এবং রক্ষণাবেক্ষণ খরচ আরও ৩ লক্ষ টাকা ধরা যায়। এর ফলে মোট বার্ষিক ব্যয় প্রায় ৩৯-৪০ লক্ষ টাকা হয়, যার ফলে কেবল ২-৩ লক্ষ টাকা সঞ্চয় হয়, যা দীর্ঘমেয়াদে সম্পদ তৈরির জন্য একেবারেই পর্যাপ্ত নয়। (Representative Image)
কৌশিক ব্যাখ্যা করে বলেন, সমস্যাটি আয়ের পরিমাণ নয় বরং অন্যদের সঙ্গে ক্রমাগত তুলনা এবং তাদের জীবনযাত্রার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার চাপ। সোশ্যাল মিডিয়া এই সমস্যাটিকে আরও তীব্র করে তোলে, সহকর্মীর আন্তর্জাতিক ছুটি কাটানো, কোটি কোটি টাকার বিলাসবহুল বাড়ি এবং ডিজাইনার পোশাকের প্রচার চাপ বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে EMI-এর বোঝা এসে পড়ে এবং আর্থিক স্বাধীনতার জায়গা আর থাকে না।
কৌশিকের মতে, প্রকৃত তৃপ্তি বেশি উপার্জন এবং বেশি খরচ থেকে করে আসে না। (Representative Image)
বরং, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমিয়ে আনা, বিলাসিতার খরচের বদলে ব্যক্তিগত অগ্রগতি নিশ্চিত করার মাধ্যমে তা আসে। এর জন্য জীবনের লক্ষ্য সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা প্রয়োজন, সামাজিক জাঁকজমকের চেয়ে আর্থিক স্বাধীনতা বেছে নেওয়া প্রয়োজন, ঋণের ফাঁদ এড়ানো প্রয়োজন এবং অহেতুক বাড়ি-গাড়ির বদলে আর্থিক উদ্দেশ্য বেছে বিনিয়োগ প্রয়োজন। আসল ফাঁদ তাই জীবনযাত্রার মুদ্রাস্ফীতি। (Representative Image)
আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যয়ও বেড়ে যায়। উবের থেকে ড্রাইভার, গোয়া থেকে গ্রিস, আপগ্রেড করার ক্ষুধা কখনও শেষ হয় না। এখন আমরা এটিকে বিলাসিতা নয়, বরং স্ট্যান্ডার্ড লিভিং বলি, সমস্যা কোথায় তা কৌশিক একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেছেন। (Representative Image)