বিশেষ ইনটেনসিভ রিভিশন (এসআইআর) ঘিরে রাজনৈতিক মহল এখন সরগরম। তার মাঝেই নতুন বিতর্কের জন্ম দিল আসানসোলের সালানপুর থানা এলাকায়। মঙ্গলবার লোহাট মোড়ে আবর্জনার স্তূপ থেকে একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ ভোটার কার্ড উদ্ধার হয়। স্থানীয়রা বিষয়টি দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে সালানপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভোটার কার্ডগুলি উদ্ধার করে বিডিও অফিসে জমা দেয়।
আরও পড়ুন: বিহারে SIR-এ আধার কার্ডকে মান্যতা! নির্বাচন কমিশনকে বিশেষ নির্দেশ SC-র
সালানপুরের বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাস জানিয়েছেন, মোট ২৫টি ভোটার কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিটি কার্ডেই রেল শহর চিত্তরঞ্জনের ঠিকানা লেখা রয়েছে। তিনি জানান, কার্ডগুলি ভুয়ো না আসল, তা খতিয়ে দেখা হবে এবং কীভাবে এগুলি আবর্জনার স্তূপে এল, সেটাও প্রশাসনিক স্তরে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। কখনও রেল শহর চিত্তরঞ্জনে ১৬ হাজারেরও বেশি শ্রমিক কাজ করতেন। কর্মী সঙ্কোচন ও শিল্পের মন্দার কারণে আজ সেই সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে। বহু মানুষ কাজ হারিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। প্রশাসনিক মহলের একাংশের মতে, সেইসব পরিত্যক্ত পুরনো ভোটার কার্ডই হয়তো কোনওভাবে আবর্জনার স্তূপে এসে পৌঁছেছে। তবে সেগুলি চিত্তরঞ্জন থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরের লোহাট এলাকায় কীভাবে এল, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাসক দল ও বিরোধীদের মধ্যে রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে। স্থানীয় বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা বিধান উপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, এসআইআরকে ঘিরে নানা ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি। ভোটার কার্ড উদ্ধারের ঘটনাটিও সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশ হতে পারে। অন্যদিকে, বিজেপির জেলা কমিটির আমন্ত্রিত সদস্য অভিজিৎ রায় দাবি করেছেন, এসআইআর কার্যকর হওয়ার আগে থেকেই এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে। ভুয়ো ভোটাররা নিজেদের জাল পরিচয়পত্র ফেলে দিচ্ছে। এসআইআর পুরোপুরি শুরু হলে আরও অনেক কিছু সামনে আসবে। আবর্জনার স্তূপে ভোটার কার্ড উদ্ধারের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। প্রশাসন প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে, তবে আসল-নকল যাচাই ও কার্ডগুলির সঠিক উৎস জানা না গেলে রহস্য কাটবে না।