Last Updated:August 19, 2025 1:01 PM IST
Longest Bridge In Railway: এই সেতুটি প্রধানমন্ত্রী গতি শক্তির অধীনে নির্মিত হয়েছে এবং খরচ হয়েছে ৫৮০ কোটি টাকা। উপরের এবং নীচের গ্রেড সেপারেটরের খরচ ১২৪৭.৬৮ কোটি টাকা।
নয়াদিল্লি: একের পর এক অনন্য কীর্তি স্থাপন করে চলেছে দেশের বুকে ভারতীয় রেল। বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু আর্চ ব্রিজ, দীর্ঘতম সুড়ঙ্গ, পাম্বান সেতুর সাফল্যের পর এখন দীর্ঘতম সেতু তৈরির কাজও শেষ। এই সেতুতে যাত্রীরা ভ্রমণের সময় দীর্ঘ সময় ধরে বাতাসে থাকবেন। ঠিক যেন ট্রেনেই বিমানভ্রমণ উপভোগ করতে পারবেন তাঁরা। এই সেতুটি CRS-এর অনুমোদনও পেয়েছে। শীঘ্রই এটির উদ্বোধন করা হবে।
ভারতীয় রেল কাটনি জংশনে এই গ্রেড সেপারেটর ব্রিজটি তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে ট্রেনগুলি পুরো শহর বাইপাস করতে পারবে। এই সম্পূর্ণ সেপারেটরটি বেশ উঁচু, ১৫.৮৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এক ট্র্যাক পিলারের উপর নির্মিত হয়েছে। এর কাজ ২০২০ সালে শুরু হয়েছিল এবং এটি ২০২৫ সালে সম্পন্ন হল।
প্রকল্প প্রধান ধর্মেন্দ্র পান্ডে বলেন যে, উপরে এবং নীচে দুটি এলিভেটেড গ্রেড সেপারেটর তৈরি করা হয়েছে, যার মধ্যে উপরের দিকটা প্রস্তুত এবং নীচের দিকে এখনও (১৭.৫২ কিলোমিটার দীর্ঘ) কাজ চলছে। এই সেতুটি প্রধানমন্ত্রী গতি শক্তির অধীনে নির্মিত হয়েছে এবং খরচ হয়েছে ৫৮০ কোটি টাকা। উপরের এবং নীচের গ্রেড সেপারেটরের খরচ ১২৪৭.৬৮ কোটি টাকা।
কেন এটি তৈরির প্রয়োজন হল
নিউ কাটনি ইয়ার্ড দেশের সবচেয়ে বড় ইয়ার্ড। এখানে অনেক ট্রেন আসত, যার ফলে যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলে প্রভাব পড়ত। এর ফলে সময় মেনে ট্রেন চালানো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল এবং ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোও কঠিন হয়ে পড়ছিল।
এবার যা উপকার হবে
ভারতীয় রেলের মতে, পুরো প্রকল্পটি সম্পন্ন হওয়ার পর সিংরাউলি এবং বিলাসপুর থেকে আসা ট্রেনগুলিকে নিউ কাটনি জংশন এবং কাটনি মুদোয়ারা জংশনে থামতে হবে না। কোটা এবং বিনা অভিমুখী ট্রেনগুলি উপকৃত হবে। এর ফলে ট্রেন চলাচলের সময়ানুবর্তিতা উন্নত হবে। এছাড়াও, এটি রেলওয়ের দুটি জোন, পশ্চিম মধ্য রেলওয়ে এবং দক্ষিণ-পূর্ব মধ্য রেলওয়ের পরিচালনা ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। প্রয়োজনে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোও যেতে পারে। ফলে, যাত্রীরা উকৃত হবেন। এছাড়াও, ইয়ার্ডে যানজট হ্রাস পাবে। পাশাপাশি, যে ট্রেনগুলি ইয়ার্ড অতিক্রম করছে এবং কাটনিতে যাবে না, তারা কর্মী ছাড়াই যেতে পারবে।
কয়লাও সময়মতো পৌঁছবে
এখানে প্রচুর সংখ্যক যানবাহন কয়লা বোঝাই করে। এই সেপারেটর নির্মাণের পর সময়মতো এবং দ্রুত বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ করা সম্ভব হবে। আগে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লার ঘাটতির খবর আসত প্রায়ই- এখন আর এমন কোনও সমস্যা হবে না।
গ্রেড সেপারেটরের বৈশিষ্ট্য
গ্রেড সেপারেটরটি নির্মাণে ১৫০০০ টন ইস্পাত এবং ১.৫০ লক্ষ ঘনমিটার কংক্রিট ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও, ১.৯০ লক্ষ ঘনমিটার মাটির উপর কাজ করা হয়েছে। চারটি আরওআর (রেল ওভার রেল ব্রিজ) তৈরি করা হয়েছে, যার মধ্যে দীর্ঘতম স্প্যানটি ৯১.৪০ মিটার।
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
August 19, 2025 11:06 AM IST
Indian Railways: বাতাসেই ভেসে থাকা, ভারতীয় রেল বানিয়ে ফেলেছে দীর্ঘতম ব্রিজ ! ট্রেনে বসেই বিমানযাত্রার মতো অভিজ্ঞতা হবে এবার