চিটফান্ড মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় তৃণমূল রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের পাসপোর্ট বহুদিন ধরেই আদালতের জিম্মায় রয়েছে। ফলে তিনি বিদেশে যেতে চাইলে প্রতিবারই কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি নিতে হয়। সেই আইনি প্রক্রিয়ার কারণেই এ বার লন্ডন ও আয়ারল্যান্ড সফরে অংশগ্রহণের আগে আদালতের দ্বারস্থ হন তৃণমূলের মুখপাত্র।মামলায় বিদেশ সফরের অনুমতি পেলেন কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন: মিঠুনের করা মানহানির মামলা নিয়ে কী পরিকল্পনা কুণালের? নিজেই জানালেন তৃণমূল নেতা
জানা যাচ্ছে, লন্ডন ও আয়ারল্যান্ডে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য তিনি বিদেশ সফরের আবেদন করেছিলেন। সোমবার বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের বেঞ্চে বিষয়টি ওঠে। কুণালের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তীর করা আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি হয়। আদালত তাঁর আবেদন মঞ্জুর করে।শুনানির সময় সিবিআই আদালতে একটি রিপোর্ট জমা দেয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, কুণাল ঘোষ এর আগে যেসব বিদেশ সফরে গিয়েছেন, প্রতিবারই আদালতের শর্ত মেনে চলেছেন এবং সময়মতো দেশে ফিরেছেন। সেই নজির তুলে ধরে সংস্থাটি জানায়, এবারও তিনি নিয়ম ভঙ্গ করবেন না বলে আশা করা হচ্ছে। ওই রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর আদালত তাঁর বিদেশ সফরে সায় দেয়।
আদালত আগের সফরের মতো এবারও একই শর্ত দিয়েছে। কুণাল ঘোষকে বিদেশ সফরের আগে পাঁচ লক্ষ টাকার বন্ড জমা রাখতে হবে। সফর শেষে নির্ধারিত সময়ে দেশে ফিরলে ওই অর্থ ফেরত দেওয়া হবে। একই সঙ্গে আদালত জানিয়ে দিয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ফিরতে হবে তাঁকে।
উল্লেখ্য, গত বছর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে লন্ডন সফরে যাওয়ার সময়ও একইভাবে আদালতের অনুমতি নিয়েছিলেন তিনি। মমতার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে একাধিক বক্তৃতায় কুণাল পেশাগত কারণে সফরসঙ্গী হয়েছিলেন। তখনও আদালত তাঁকে পাঁচ লক্ষ টাকার বন্ড জমা দেওয়ার শর্তে বিদেশ সফরের অনুমতি দিয়েছিল। এবারের সফরে কুণাল ঘোষ লন্ডন ও আয়ারল্যান্ডে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, সফর শেষ করে দেশে ফেরার পর আদালতকে সে বিষয়ে অবহিত করতে হবে তাঁকে। কুণাল ঘোষের বিদেশ সফরে ছাড়পত্র মেলায় তাঁর জন্য সব আইনি বাধা কার্যত কাটল।